হারভেস্ট প্লাস এর সহযোগিতায় প্রকাশ গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (পি জি ইউ কে) রবিবার সকাল ১১টায় নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের হল রুমে এই মত বিনিময় সভার আয়োজন করে।
নেত্রকোণা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জাকারিয়া মুস্তাফা’র সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় জিংক ধান সম্পর্কে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এফ এম মোবারক আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নেত্রকোণা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবিনা ইয়াসমিন ও জেলা অটো মেজর এন্ড হ্যাস্কিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি হাজী এইচ আর খান পাঠান সাখি।
মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বারহাট্টা খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, মদন উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক এরশাদুর রহমান, কেন্দুয়া উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক খন্দকার মুনতাসির মামুন, নেত্রকোণা সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, হারভেস্ট প্লাসের এ আর ডি ও সাইফুল ইসলাম, হারভেস্ট প্লাসের কর্মকর্তা সালেউর রহমান ও রুহুল কুদ্দুস এবং প্রকাশ গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের সম্বনয়কারী মোতাকাব্বীর ভূইয়া প্রমুখ।
মত বিনিময় সভায় জিংক ধান চাষাবাদ, ক্রেতা বিক্রেতা এবং মিল মালিকসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৮৫ জন কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করেন।
মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ এফ এম মোবারক আলী বলেন, জিংক সমৃদ্ধ চাউল ক্ষুধা নিবারণে অনন্য। এ অঞ্চলে দিন দিন জিংক ধানের আবাদ সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে জিংক চাউলকে আলাদা ভাবে উপস্থাপনের জন্য ব্র্যান্ডিং জরুরী।
নেত্রকোণা জেলা এটো রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতির হাজী এইচ আর খান পাঠান সাখি বলেন, পুষ্টি ও গুণে মানে সমৃদ্ধ জিংক ধান চাষাবাদে কৃষকদের আরো বেশী উদ্ধুদ্ধ করার সাথে সাথে ফসল ঘরে উঠানোর পর তা চাউল মিলে আলাদা করে চাউল তৈরী এবং আলাদা বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহনের প্রতিশ্রুতি দেন।
সভার সভাপতি মোঃ জাকারিয়া মুস্তাফা সমাপনী বক্তব্যে বলেন, এখন থেকে আমন ও বোর মৌসুমে জিংক জাতীয় সকল প্রকার ধান খাদ্য গুদাম কিনে স্টক করে ও জিংক চাউল ৮৪, জিংক চাউল ৭৪ আলাদা মিল হতে চাউল করে গরীব, দুঃখী, মেহনতি মানুষের কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। যাতে জিংক এর অভাব পূরণ করা যায়। তিনি উপস্থিত সকলকে জিংক ধান চাষাবাদের পরামর্শ দেন